রাসেল ভাই আমার নাম রোহান আমার বাসা খুলনায়। দেহলিয়া জেলার ধেয়ার গ্রামে। আশা করি আপনি ভাল আছেন। ঘটনাটি আমার বাবার সাথে ঘটে। আমি সরাসরি ঘটনায় চলে যাচ্ছি। ঘটনাটি আমার বাবার কাছ থেকে শনা। আমি তখন অনেক ছোট। যখন ঘটনাটি ঘটে। আমার বাবা অনেক ধার্মিক মানুষ ছিলেন ছোটবেলা থেকেই। প্রতিদিনই নামাযের পাশাপাশি তাহাজ্জুদের নামায পড়তেন ও সুন্দর আতরের গন্ধ্যে এবং রাত জেগে তেলাওয়াত করতেন। একদিন বাবা কোরয়ান তেলাওয়াত করছেন। হঠাৎ তিনি অনুভব করেন, পুরো রুমটা সুন্দর আতরের গন্ধে ভরে গেছে। আতরের গন্ধটা অনেক তীব্র হচ্ছে, ধীরে ধীরে। হঠাৎ করে কারেন্ট চলে যায়। বাবা মোম জ্বালিয়ে তেলাওয়াতে মগ্ন ছিলেন। তিনি তখন দরজা খুলে যাওয়ার শব্দ পান। তিনি পিছনে তাকিয়ে দেখতে পান সাদা কাপড় পড়ে একটি মেয়ে আসছে এবং অনেক সুন্দর বাবার ভাস্যমতে। মেয়েটি যায়নামাযের পাশে বসে এবং বাবাকে বলে, আপনার কন্ঠস্বর অনেক সুন্দর। মেয়েটিকে দেখে বাবা অত্যন্ত ভয় পান। এবং দৌড়ে পাশের রূমে এসে আমার দাদীর কাছে এসে অজ্ঞান হয়ে যান। সেদিন রাতে বাবা আর নামায পড়েন না। দাদীর পাশে ঘুমিয়ে রাত পার করেন। এরপর থেকে বাবা যে দিনই কোরান তেলাওয়াত করতেন, সে দিনই মেয়েটি আসত ফলে বাবা অনেক ভয় পেতেন যার ফলে দাদী বাবাকে এক হুজুরের কাছে নিয়ে যান। হুজুরের কাছে জ্বীন ছিল। হুজুর জ্বীনের মাধ্যমে জানতে পারেন যে মেয়েটি আসত সে পরী সম্প্রয়াদের ছিল। সে বাবাকে পছন্দ করত। বাবার কোরান্তেলাওয়াত অনেক পছন্দ করত সে। কিন্তু সে বাবার কোন ক্ষতি করত না। জুগুর দাদীকে বলল বাবাকে বিয়ে করিয়ে দিতে। যেই ভাবা সেই কাজ। বাবাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হল। বিয়ের কাহিনীটা ভিন্ন ছিল। আমাদের ঘরে একটা বড় টাইপের কাঠাল টাইপের মাটির ব্যাঙ্ক ছিল। প্রায়ই হত কি ব্যাঙ্কে পয়সা ফেলার শব্দ হত। এতে বাবা একটু চিন্তিত হলেন। এমনকি বিছানার নিচে থেকেও কুটকুট শব্দ হত। যার ফলে বাবা বিছানা থেকে নেমে বিছানার নিচে কী আছে দেখার জন্য চেক করলেন। তিনি বিছানার নিচে উঁকি দিয়ে সেখতে পেলেন একটা মেয়ে বসে আছে। বাবার দিকে তাকিয়ে আছে এবং হাতে একটি সাপ রয়েছে। সেটি দেখামাত্র বাবা অনেক ভয় পেয়ে যান। একটি মেয়ে বিছানার নিচে হাতে একটি সাপ। এবং মেয়েটি সাপ বাবার গায়ে ছুড়ে মারে। এই সাপটি বাবার হাতে কামড় দেয়। পরবর্তীতে বাবার পরো শরীর নীল হয়ে যায় এবং অঝা ডাকিয়ে সে সাপের বিষ নামানো হয়। ওঝা বাবাকে একটা তাবিজ দেয়। এরপরে তেমন আর কিছু হয়নি। বাবা তার শশুরবাড়ি বেড়াতে যান। কিছুদিন পর সেখানে গিয়ে একদিন পুকুরে গোসল করতে গিয়ে বাবা হাতের তাবিজটি হারিয়ে ফেলেন। বাসায় এসে তিনি লক্ষ্য করেন তার হাতের তাবিজটি হারিয়ে গেছে। সেদিন রাতে বাবা রাতের খাবার শেষ করে যখন শুয়েছিলেন তখন হালকা তন্দ্রা এসেছে। তিনি লক্ষ্য করলেন একটা বোরকা পড়া মহিলা বাবার একদম মুখের উপর শুন্যে ভেসে আছে। সেটা দেখা মাত্রই মহিলাটি বাবার গলা চেপে ধরেন এবং বাবা গনাচ্ছিলেন এমন সময় আম্মুর ঘুম ভেঙ্গে যায়। আম্মু বাবাকে ধাক্কা দিতে সেটা গায়েব হয়ে যায়। পরেরদিন উঠে নানীকে ব্যাপারটি জানানো হয়। নানী বাবাকে বলেন তুমি মেয়েটি আসলে তাকে বলবে তোমার বউ আছে, সংসার আছে তুমি তার যেতে চাও না, সে যেন চলে যায়। আমাদের নানীর বাড়ির অনেক বড় বাগান ছিল। বাবা ঐদিন বিকেলে বাগানের দিকে যান। তখন ফলের মৌসুম ছিল। বাগানের দিকে গিয়ে ভেতরে অনেক দূর থেকে দেখতে পান সাদা কাপড় পরে একটা মেয়ে ভেসে ভেসে আসছে। বাবার কাছে এসে মেয়েটি বাবকে বলে আমি তোমাকে আমার দেশে নিয়ে যেতে চাই। তকন বাবা নানীর কথাগুলো মেয়েটিকে বলে যে তার সংসার আছে তার স্ত্রী আছে তাকে যেন ছেড়ে দেয়। যার ফলে মেয়েটি ক্ষীপ্ত হয়ে বাবাকে সজোরে আঘাত করে। সেখানে বাবা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। বাআবকে খুজে না পাওয়ায় মামারা বাবাকে খুঁজতে গিয়ে বাবাকে বাগানে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে এবং ধরে নিয়ে আসে। ঐদিন বাবাকে নানীবাড়ির এলাকায় অনেক বড় এক হুজুরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। হুজুর বাবাকে দেখে আসনে বসেন এবং বলেন ঐ মেয়েটি বাবকে অনেক পছন্দ করে এবং বাবাকে নিয়ে যেতে চায় যার কারণে বাবা যখন বিয়ে করেছে সেটা জানতে পারে তখন সে বাবাকে নানাভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে থাকে। এমনকি সেদিন বিছানার নিচে সাপটি বাবার গায়ে ছুড়ে মেরেছিল বাবাকে মেরে ফেলার জন্যই সেটা করেছিল। হুজুর বলল একটি তাবিজ এবং গোসল দিলে এটি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। যেন সাত ঘাটের পানি, গোলাপজল, হুজুরের পানি পড়ে সবকিছু ঠিক করা হল এবং প্রানির চামড়া দিয়ে তাবিজটি লিখে সেই তাবিজ ব্যাবহার করতে দিলে পরবর্তীতে বাবা সেই জিনিসগুলো ব্যাবহার করে এবং আসতে আসতে ঠিক হয়ে যায়। এরপরে একদিন বাবকে স্বপ্নে দেখানো হয় সেই ব্যাঙ্কটি ভাঙ্গার জন্য পরেরদিন বাবা আমি(তখন যথেষ্ট বড় হয়েছিলাম) আম্মু সবার সামনে ব্যাঙ্কটি ভাঙ্গতে থাকেন। রাসেল ভাই সেটা যখন ভাঙ্গা হয় তখন অনেক পুরোন সময়ের কয়েন পাওয়া যায় এমনকি অনেক জিনিস পাওয়া যায় যে আগে যেগুল আমরা দেখিনি। পরে বাবা জনিসগুল কোন হুজুরকে দেখান না। সেগুল নিজের কাছে রেখে দেন। এবং এটাই ছিল ঘটনা পছন্দ হলে পড়ে শুনাবেন।
Battery
Getting battery
0 মন্তব্যসমূহ