কাহিনীটা হচ্ছে ২০১৫ সাল। ২০১৬ সালে আমি ssc ক্যান্ডিটেট ছিলাম তো সেই সুবাদে ২০১৫ সালে আমি হোস্টেলে উঠেছি। এওজার পরপর, ইদের পরপর। তো হোস্টেলের কাহিনী বলতে কিছু কথা বলার হচ্ছে আমাদের হোস্টেলটা ছিল বাড়ির ভিতরে। ঐখানে থাকার সিস্টেম ছিল। খাবারের কোন সিস্টেম ছিল না। অনেকে বাড়ি থেকে খাবার আনত। আমাদের পাশে একটা কলেজের হোস্টেল ছিল। আমি ঐখান থেকে খাবার আনতাম। তো আমাদের ৬ টা রুম ছিল। প্রথম রুমে স্যার থাকত, বাকি ৫ টা রুমে আমরা স্টুডেন্টরেয়া থাকতাম। আরপরে স্টোর । তো আমি কাহিনীতে চলে যাচ্ছি। ইদের পরপর আমাদের যে গার্ড ছিল স্যার তখন আসেনি। তো সবাই আমরা ২ নাম্বার রুমে বসে আড্ডা দিতেছি। অনেকক্ষণ গান-বাজনা করার পরে রাত তখন ১১টা বাজে। তো আমার একটা ফ্রেন্ড ওয়াশরুম পাইছে তো ওয়াশরুমে গেসে। ওয়াশরুমে যাইতে হইলে ঐ স্টোর রুমটা ক্রস করতে হয়। সে যাওয়ার পথে একটা বাচ্চার কান্না তার কানে লাগে। সে প্রথমে পাত্তা না দিয়ে চলে গেছে। তারপর ওয়াশরুম করার সময় আস্তে আস্তে কান্নাটা বাড়তেছে। তো সে সেই সুবাদে পিছনে তাকাল। তাকানোর পর দেখল যে ৬ মাসের বাচ্চা তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কাঁদছে। সে একটা দৌড় মাইরা আমাদের দরজার সামনে এসে সেন্সলেস গয়ে গেছে। আমরা সবাই ধরাধরি করে অকে বিছানার উপরে নিয়ে আনলাম। মাথায় পানি ঢাললাম। তারপর আমরা তার থেকে কাহিনীটা শুনি। শুনার পর থেকে আমরা সবাই প্রায় ২৫ জন ভয় পাই গেছি। তারপর নিত্যনতুন মানে আমাদের এই প্রবলেমটা হইতেছে। হঠাৎ করে দেখতেছি যে রাতে। রাতেই প্রবলেমটা বেশি হত। আমাদের স্যার যিনি ছিলেন ১০টা বাজে তিনি তার বাসায় চলে যেতেন। হঠাৎ করে রাত ১০টার পর টিনের উপর কিছু পড়ত। মানুষ পড়ার মত থপ করে আওয়াজ হত। তারপর মানুষ যেভাবে হাঁটে সেরকম আওয়াজ হত। সবশেষ ঘটনা হল, আমাদের যেহেতু খাবারে সুবিধা ছিল না তাই আমরা রাত্রে কেক-টেক নিয়ে আসতাম সকালে খাওয়ার জন্য। দেখা যাইত যে আমরা কেক যেখানে রাখতাম, ব্যাগে তালা দিয়ে রাখতাম, ব্যাগে প্যাকেট ছিল কিন্তু ক্যাক ঐ জায়গায় থাকত না। আমি এটা মনে করতাম যদি ফ্রেন্ড সার্কেল খেয়ে ফেলত এমন না। কেকের প্যাকেট থাকত কিন্তু কেকটা থাকত না। তো একদিন আমাকে ৬ নাম্বার রুম থেকে ৪ নাম্বার রুমে ট্রান্সফার করা হয়। তো এই রুমটা দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল। তারপর আমি আর আরেকটা ফ্রেন্ড ছিল। তো ঐ ৫ নাম্বার রুমে যাওয়ার পরে আমার সাথে ঐ কাহিনীটা হইছে। তো ঐ রুমে আমরা দুইদিক করে আমরা চার জন থাকতে পারতাম কিন্তু আমরা কোনসময় ৪ জন ছিলাম না। ২ জনই রাখত কেন রাখত সেটা স্যারঅই ভালো জানতেন। তো রাত যখন হত আমি ফিল করতাম যেন আমার পাএ কেউ যেন একজন আছে। আর প্রচুর একটা মহিলার কান্নার আওয়াজ শুনতাম মাঝেমধ্যে, ঝুমুরের আওয়াজ বা মাঝে মাঝে খুব চিৎকার করে কান্নার আওয়াজ শুনতাম। ঐটা থেকে আমি নিতান্তই খুব ভয় পাইতেছি। তারপর আমি আমার ফ্রেন্ডদের শেয়ার করলাম। তারাও নাকি সেটা শুনতেছে। নিত্যদিনই তো হইতেছে তাই আমি সেটা পাত্তা দিতাম না। একদিন যে আমার রুমমেটা ছিল সে বাড়িতে চলে গেছে। তো আমি রুমে একা ছিলাম। সবাই আড্ডা-মাড্ডা দিলাম। স্যার যাওয়ার পরে খাওয়া-দাওয়া হল। সবাই পড়তে পড়তে ১২টা বাজল। সবাই সবার রুমে চলে গেছে। আমি আমার রুমে একা শুইছি। মনে হয় আধা ঘন্টার মত আমি ঘুমাই নাই। আমি ফিল করতেছি একটা কান্না আমার কানে বাজতেছে। তো আমি ঐটা পাত্তা না দিয়ে শুয়ে আছি। আমি কিছুক্ষণ পরে ফিল করলাম যে আমি ভাসতেছি। তারপর আমি চোখ খুললাম। চোখ খুলার পর আমি যা দেখলাম তার জন্য আমি কখনো প্রস্তুত ছিলাম না। একটা সাদা কাপড় পড়া মহিলা তার মুখটা খুব বিভৎস ছিল। দাঁতগুলা এমন যেন কিছু একটা খাইছে। চোখগুলা চোখের জায়গায় নাই। চুলগুলা মনে হয় সাপ যেভাবে প্যাঁচায় ঐরকম। আমি যতটুকু দোয়াদুরূদ পারি পড়লান কিন্তু কাজ হইল না। হাত-পা নাড়ানোর ট্রাই করতেছি কন্তু হচ্ছে না। চিল্লানোর জন্য ট্রাই করতেছি কিন্তু কিছু হইতেছে না। অনেকক্ষণ ধরে হচ্ছে। পরে যখন মনে হল যে আমি হাত পা নাড়াইতে পারতেছি তখন চিল্লালাম। তারপর ফ্রেন্ডরা সবাই আসল, দরজা ভাঙ্গল। তারপরে আমাকে পানি দিল। আমি ঠিক হলাম। তারপরে আমাদের এই হলে যারা বড় ভাইয়ারা ছিলো তাদের জিজ্ঞাস কিরিলাম যে তারা কিছু জানে কিনা। ওনারা বললেন, আমরা যখন ছিলাম তখন ৪ নাম্বার রুমটা বন্ধ ছিল। তোমরা হয়ত স্টুডেন্ট বেশি তাই রুমটা খুলছে। রুমটা কী জন্য বন্ধ ছিল আমরা জানিনা তবে আন্দাজ করছিলাম যে কিছু একটা সমস্যা আছে। কিন্তু স্যার আমাদের কিছু বলে নাই। আমরাতো প্রতিনিয়ত কান্নার আওয়াজ মানে ঐ মহিলার আওয়াজ তো প্রতিদিনই হইতেছে। তো হওয়ার পর আমি আমার আব্বু কে জানালাম। আব্বু আবার হুজুরের সাথে কথা বলল। আমি আবার হুজুরকে নিয়ে হোস্টেলে গেলাম। যাওয়ার পরে উনি হোস্টেলটা ঘুরল। উনি ঘুরার পর অনেকের থেকে জানল। জানার পরে আমাকে কিছু বলল না। তো আমার আব্বুকে বলছে আর কি। তো আমার আব্বুর কাছ থেকে শুনা। দীর্ঘদিন, প্রায় অনেক বছর আগে, এই জায়গাটা একটা মহিলা হোস্টেল ছিল। একটা মেয়ে বয়ে হওয়ার আগে সন্তানের মা হয়ে গিয়েছিল। তারপর বাচ্চাটা নিয়ে বাড়িতে যায়নি। বাচ্চাটা এখানেই প্রসব হয়েছিল। তারপর যে তার বয়ফ্রেন্ড ছিল স্বীকার করে। তো দুই তিন মাস যাওয়ার পর তার বয়ফ্রেন্ড যখন বাচ্চাকে স্বীকার করতেছে না তখন সে তার বাচ্চাকে নিজের হাতে হত্যা করে এবং নিজেই ৪ নাম্বার রুমে আমি যে বেডে শুতাম সে বেডের উপর ফাঁসি দিয়েছিল। তারপর থেকে অনেকদিন হোস্টেলটা বন্ধ ছিল। অনেক বছর প্রায় ১৪ ১৫ বছর পর্যন্ত। তারপ আমাদের থেকে যারা ২ ব্যাচ সিনিয়র ছিলেন তাদের থেকে সেটা স্টার্ট হল। তাদের সময় ৪ নাম্বার রুমটা অফ ছিল। আমাদের স্টুডেন্ট সংখ্যা বেশি হওয়ায় আমরা ঐ রুমে ছিলাম। তো এই ছিল রাসেল ভাই আমার ঘটনা।
Battery
Getting battery
0 মন্তব্যসমূহ