বাস ছাড়ল রাত ৯ টায়, যাতে করে সকাল সকাল পৌছানো যায় কক্সবাজার। ও বলতেই ভুলে গেছি, ইংরেজি বিভাগ ট্যুরে যাচ্ছি আমরা। যদিও ৯ম ব্যাচ থেকে আমি একাই। তবে একা লাগছে না। সবাই খুব বন্ধুত্বপূর্ন কিনা। কিন্তু বাধন ভাই আবার কোন এক কারনে আমার সাথে রাগ। একটু মজাই নাহয় করলাম তাই বলে এত্তো পার্ট? বেশ আনন্দের সাথেই এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের বাস। আমরা প্রায় ৪০ জনের মত আছি। পিছনের কয়েকটা সিট ফাকা পরে আছে। হঠাৎ রাকিব ভাই গিটারে সুর তুললেন, মুগ্ধ হয়ে শুনছে সবাই। এর মধ্যেই চোখ পড়ল দারোগা আপুর দিকে।কেমন যেন চুপচাপ। তিনি সবসময়ই বেশ চন্চল। তবে আজকের এমন একটা আনন্দের দিনো তাকে চুপ থাকতে দেখে বেশ অবাকই হলাম। যাইহোক ব্যাপারটা পাত্তা না দিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলাম গানের আসরে।কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই, সবার চেচামিচি তে ঘুম ভাংল। দেখলাম সবাই বাস থেকে নামছে। বুঝলাম সামনের হোটেলে ডিনারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সবাই নেমে গেলেও দারোগা আপু নামছে না। বুঝলাম কিছু একটা গড়বড় নিশ্চয়ই আছে। কাছে গিয়ে দেখি কিউটের ডিব্বার মত আপুটা একদম চুপসে গেছে। জানতে চাইলাম কি হয়েছে। প্রথমে বলতে না চাইলেও জোড়াজুড়িতে রাজি হলেন তবে শর্ত হলো হলো ভয় পাওয়া যাবে না। মেনে নিয়ে বললাম চলেন খেতে খেতে শুনি।
আপু যা বললেন তা শুনে আমি হতভম্ব, এটাও হতে পারে? ওনি নাকি গত রাতে স্বপ্নে দেখেছেন আমরা যে বাসে টুরে যাচ্ছি সেটিতে নাকি কয়েক বছর আগে সন্ত্রাসী একটি মেয়ে শ্লীলতাহানি করে হত্যা করে। তারপর থেকে সেই মেয়েটির আত্না এই বাসেই আটকে আছে। এতো গেল স্বপ্ন।মূল ভয়ের কথা কথা এইযে দারোগা আপু বাসে উঠার পর থেকেই অস্বস্তি বোধ করছেন। একবার দেখছেন পিছনের ফাকা সিটের কোন একটিতে একটা রক্তাক্ত মেয়ে বসে আছে। চুল গুলো এলোমেলো, লাল চোখদুটো যেন বেড়িয়ে আসতে চাইতে, জিহ্বা বেড়িয়ে এসেছে অনেকটা।আবার ঘাড়ের কাছে নিশ্বাসের শব্দ শুনছেন। যাইহোক, বেশ খানিকটা ভয় পেলেও সেটা প্রকাশ করলাম না। বরং আপুকে সাহস দিয়ে বললাম আমার পাশের সিটে বসার জন্য। বাস চলছে, হঠাৎ একটা চিৎকার শুনতে পেলাম। আপুর দিকে তাকিয়ে বললাম কিছু শুনতে পেলে? ওনি হা বোধক উত্তর দিলেন। দেখলাম সবাই ঘুমিয়ে আছে। তারমানে এই বিকট চিৎকার শুধু আমরা দুজনই শুনতে পেয়েছি। বুঝলাম যে বাসে অতিপ্রাকৃত কিছু অবশ্যই আছে। সবাইকে রেখে আমাদের কেন পেয়ে বসল? স্পেসাল্লি আপুকে? হয়ত আপুর সাথে ওই খারাপ আত্নার চেহারায় মিল ছিল।
চিন্তাটা মাথায় আসতেই আপুকে জিগ্গেস করলাম যে ক্যাম্পাস থেকে বাস ছাড়ার আগে ওনি বাসের আসে পাশে গিয়েছিলেন কিনা। ওনি বললেন হ্যা। সাথে সাথে গুগলে সার্চ দিলাম,' *** বাসে একটি মেয়েকে শ্লীলতাহানি করে হত্যা। যে কয়েকটা সার্চ রেজাল্ট আসল তার মধ্যে একটি মেয়ের সাথে দারোগা আপুর চেহারায় অদ্ভুত মিল। যা বুঝার বুঝে নিলাম। আর আমার প্রশ্নেরও উত্তর পেলাম। এই জন্যই এই আত্না আপুকে জ্বালাচ্ছে। আর আমার কাছে শেয়ার করায় আমাকেও হালকা ট্রেইলার দেখিয়েছে। তবে গন্ডগোল একটা থেকেই যাচ্ছে। এই আত্না এত্তো সহজে আপুর পিছু ছাড়বে না। হঠাৎ দেখি আপু পাশে নাই! একি ওনি তো আমার পাশেই ছিলেন। আমি বের না হলে তো ওনি বেরুতে পারবেন না। তাহলে? সামনের সিটে বসা সিদ্দিক ভাইকে বললাম দারোগা আপুকে দেখেছে কিনা? ওনি অবাক হয়ে বললেন ওকি এসেছে নাকি ট্যুরে? এমন সময় চোখ পড়ল জানালার বাইরে, দেখলাম একটা মেয়ে হাইওয়েতে দাড়িয়ে ঠিক পূর্বের বর্ণনা মত। হতভম্ব হয়ে ভাবছি এটা কি হল?!!!!
------------------------ ------------------------ ------------------
It is Rj Xafi Bhoot fm story blog.Radi foorti bhoot fm story .booter golpo. Bhoot fm bangla .horror story.
Tags:horror,story,ভুতের গল্প,ভুতপ্রেত,গল্প,ভূত,ভয়ংকর,ভূতের গল্প,পেতনি,গাছের ভূত,সিরিয়াল কিলার, অক দা সিরিয়াল কিলার,রেডিও,রেডিও ফুরতি,radio foorti,bhootfm,radiofoortibhootfm,bootfm story,Radio foorti,dangerous story,রাতের গল্প,rj rasel,rasel bootfm,rj rasel bhoot fm,rj rasel story,bhootfm story mp3 download,story mp3,রাসেল,অারজে রাসেল,ভূত এফএম,মারডার,kill,হত্যা,রহস্য,ভুত,জ্বিন,
0 মন্তব্যসমূহ