সময়টা ২০২০। এমন একটি সাল যা বিষে বিষাক্ত।করোনা ভাইরাসের মহামারিতে সবাই তখন বাসায় বসে দিন কাটাচ্ছিল। তবে সবাই না যারা সচেতন তারা। দিনদিন বাড়ছিল মৃত্যু সংখ্যা, আক্রান্ত সংখ্যা।তবে যাই হোক আমি এবং আমার পরিবার বাসায় ছিলাম। বাসায় ছিলাম ভালো ছিলাম। তবে ছিলাম আতঙ্কে। কারন করোনা ভাইরাস খুব কাছে চলে এসেছিল।আমরা যদি নিয়ম মেনে বাসায় থাকি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকি, কিছুক্ষণ পরপর ২০ second ধরে হাত ধুই, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাই, জড়ুড়ি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হলে মুখে mask পরি হাতে glaps পরি, তাহলে আমরা করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাচঁতে পারি। তবে অসচেতনরা সেটা করেনা বলেই আক্রান্ত হয়। আমার স্কুল বন্ধ। পড়াশোনা করি online এ। অবসর সময় এখন অনেক। এ সময় ছবি আকিঁ, গল্প লিখি, বই পড়ি সবার সাথে লুডু খেলি ইত্যাদি ইত্যাদি। ভালো না লাগলে বন্ধুদের সাথে কথা বলি। এভাবে আমার সময় কাটে। একদিন রাতে আমারা সবাই মিলে ভাত খেতে বসব। আমি, মা, বাবা আর ভাইয়া। তখন হঠাৎ কে যেন জোরে জোরে দরজা ঠেলছে, আর চেঁচাতে চেঁচাতে বলছে," দরজা খোল, দরজা খোল"। মনে হচ্ছে এটা ভুত। সে আরও বলছে "আমার খুব খিদে পেয়েছে। দরজা খোল, দরজা খোল"। জোরে জোরে বলছে।বাবা দরজার লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখে,একটা সাদা কাপড় পড়া একটা মেয়ের আত্মা। আমরা বিভিন্ন দোয়া পড়া শুরু করি। আমি বুঝতে পারছি না কি করব।তখন আমি দরজার একটূ সামনে গিয়ে বলি," তুমি কে? কেন এসেছ? তোমার খিদে পেয়েছে তোমাকে খেতে দিব।" তখন আমরা সবাই মুখে মাস্ক পরে দরজা খুলি।মেয়েটি দেখতে মোটামুটি সুন্দর। তবে দেখে মানুষ মনে হয় না।আমি ভুত বিশ্বাস করি না। তারপরও ওকে দেখে মায়া হলো।"তুমি কি খাবে?" আমি প্রশ্ন করলাম।"আমার খিদে পেয়েছে। তোমার কাছে যা আছে তা দাও।" সে বলল। আমি অবাক হলাম।আত্মারাও কি খেতে পারে?যাই হোক আমার মা যা রান্না করেছিল সে সব খেয়ে ফেলল।আত্মা তো, তাই বেশি খায় মনে হয়।যাই হোক মা আবার রান্না করবে।যাই হোক ওর কাছ থেকে যা শুনলাম তা শুনে অবাক হলাম। সে যা বলল তা আমি তার মতো করে বলছি।"আমার নাম শিলা।আমার family তে আমার মা, ভাই, আর একটা আন্টি ছিলাম। আমার আগে বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার family তে কখোনো শান্তি ছিল না।আমরা ছিলাম ২ পক্ষে ভাগ হয়ে। একপক্ষে আমি আর বাবা, অন্য পক্ষে মা ভাইয়া আর আন্টি। মা আন্টির কথা শুনে খারাপ হয়ে গেছে। ওই আন্টি এসেছিল বাবার সব টাকা নিয়ে নিতে। টাকার জন্য সে বাবাকে মেরে ফেলল।পরে আমি যখন বড় হই, একদিন তাদের উপর রাগ করে বলি তোমরা খারাপ। তোমরা আমার বাবাকে মেরে ফেলেছ।আনি পুলিশকে বলে দিব।তার কিছু দিন পর আমাকেও মেরে ফেলে।"।ওর কথা শুনে আমার খুব কষ্ট হয়।তারপর আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম,"তুমি পড়াশোনা কেমন করেছ?" সে বলে,"আমি পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলাম।আমি পড়াশোনা করতে খুব ভালোবাসি।"।"তুমি কতটুকু পড়াশোনা করেছ?" আমি জিজ্ঞেস করি।সে বলে,"প্রায় শেষ "।" তোমার future plan কি ছিল?"আমি প্রশ্ন করি।" আমার স্বপ্ন ছিল আমি ডক্টর হব।" সে বলে।আমি বলি"তুমি তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারলে না। বেচে থাকলে অবস্যই পূরণ করতে। আচ্ছা তুমি কি আমাকে পড়াবে? আমার এখন স্কুল বন্ধ। তাই পড়ালেখায় একটু অসুবিধে হয়।তুমি পড়ালে ভালো হতো।আর আমিও বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই।"তখন সে বলে,"আমি অবস্যই তোমাকে পড়াব"।এরপর থেকে সে সবসময় আমাকে পড়ায়।আমি চেয়েছিলাম পুলিশকে বলে তার মা ও আন্টিকে গ্রেফতার করতে। কিন্ত সে না করল।তবে সে এখন আমার খুব ভালো বন্ধু। তবে ওর থেকে আমি অনেক কিছু শিখলাম।আত্বারা কখোনো খারাপ হয় না যারা খারাপ তারা খারাপ হয়।তবে আত্বারাও না খেতে পারে, তারাও বন্ধু হতে পারে
শুধু দরকার
ভালো ব্যবহার।
1 মন্তব্যসমূহ
অসাধার। ছোটরা এতে খুব আনন্দ পাবে। তাদের মন থেকে ভুতের ভয় দূর করার এ এক ভালো উপায়।
উত্তরমুছুন