কখনো রাতের বেলায় কী এমন মনে হয়?

আমি চিটাগং থেকে বলছি। ভয় পাবেন না ।আজকে আমি যে ঘটনাটা বলব সেটি আমার সাথে ঘটা। আমি এসএসসি দিব।।তো আমাকে রাত জেগে পড়তে হয়। আমি পড়তে পড়তে কারেন্টটা চলে যায়। কারেন্ট চলে যাওয়ার পরে দেখি আর তো পড়ে লাভ নেই কারেন্ট চলে গেছে। সো পড়ব না। আমি তখনো ঘুমাই নিই। এরকম সময় আমি খেয়াল করি যে আমার আশেপাশে সাউন্ড হচ্ছে। লাইক পাশের রুমে ফ্রিজ আছে। ফ্রিজট খুলছে আর অফ করছে। তখন বাসায় তেমন কেউ ছিল না। বাসায় আমি আর মামি থাকি। দরজা খুলছে আর বন্ধ হচ্ছে এরকম শুনে আমি ভাবলাম হয়ত ভুল শুনছি। তখন চিন্তা করলাম একবার চেক করে আসি। মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে আমি ঐখানে গেলাম। যাওয়ার পরে দেখলাম যে ফ্রিজটা ওপেন। আমি চিন্তা করলাম যে এটা কখন খুললাম বা কখন খোলা ছিল। তারপর আমি ওটা অফ করে দিলাম। ওটা অফ করে আমি আসলাম। আমি ড্রয়িং রুমে ঘুমাই। ড্রয়িং রুমে একটা খাট আছে ঐখানে ঘুমাই। তো ড্রয়িং রুমে এসে বসছি। বসে শুব সেই তখনই আমি খেয়াল করি যে কিচেনের দরজাটা কেউ খুলছে আর বন্ধ করছে। তখন আমি ভয় পাই নাই। আমি মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটটা অন করে কিচেনরুমে যাই। একটা বটকি হাতে নিঈ বিকস বলা যায় না কখন কী হতে পারে। তো দেখলাম যে সবকিছু নরমাল। দরজাটাও খোলা। তারপরে জানালা চেক করলাম যে না সবকিছু ঠিকঠাক আছে। আমি আবার শুয়ার জন্য। আবার দেখলাম সেই রাতে ফ্রিজ খোলার সাউন্ড হচ্ছে। দরজা কেউ বন্ধ করছে আর খুলছে। আমি তখনই ভয় পাই। আমার পাশের বাসাটাতে আরেকটা মামি থাকেন। আমি চিন্তা করলাম যে তার কাছে যাই। আমি খেয়াল করি যে আমার দু পা অবশ হয়ে গেছে। তাই আমি ভাবলাম যে কোন খারাপ কিছু হয়েছে আমাকে দোয়া পড়তে হবে। আমি আয়াতুল কুরসি পড়ার ট্রাই করলাম। দেখলাম যে না আমি আয়াতুল কুরসি ভুল পড়ছি। আমি চিন্তা করলাম যে নার্ভাস পয়ে গেছি তাই এমনটা হচ্ছে। আমি দেখলাম যে তখন রাত দুটা বাজে। আমি তখন ফেসবুকে ডুকলাম। ডুকে আমি আমার স্যারকে ডাক দিলাম। বললাম যে আমার সাথে খারাপ কিছু হইছে আমাকে আয়াতুল কুরসিটা লিখে দেন। উনি জানতে বললেন যে কী হইছে। আমি ঘটনাটা পড়ে বলব আগে লিখে দেন। তারপর আয়াতুল কুরসিটা আমি জোরে জোরে পড়া শুরু করি। আমি সব দোয়া কালাম করে ঘুমাই যাই। পরেরদিন সকালে আমি কলেজ চলে যাই। কলেজ থেকে আসতে আসতে রাতের ৭টা ৮টা বেজে যায়। তারপর আমি আমার কাজিনদের পড়াই। এভাবে করতে করতে রাত ১২টা বাজে। এই রাতেও সেই রকম দরজা খোলা বন্ধ করার সাউন্ড হয়। তারপর আমি তাড়াতাড়ি থাজ্জুদের নামায পড়ি। তখন মাই ফিল করি যে আমার আশে পাশে কেউ একজন আছে। তারপর আমি নামাজ শেষ করে ঘুমাই যাই। ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে মামিকে বলি এই প্রবলেম হইছে। সল্ভ করা লাগবে। মামা বললেন যে তুমিও এটা আগে বলনি কেন? আমি বললাম যে প্রবলেমটা দুদিন ধরে হচ্ছে। রাতের বেলা সবাই ভয় পাবে তাই আমি বলি নাই। এখন রপবলেমটা সল্ভ করার দরকার। তো মামা মসজিদের ইমামকে ডেকে নিয়ে আসেন। উনি বললেন যে উনি বিল্ডিংয়ে ডুকবেননা। ওনাকে বাইরে বসার ব্যাবস্থা করে দিতে। তো বাইরে বসার ব্যাবস্থা করে দেওয়া হল। এরকম করার পর হুজুর বলতেছে যে তুমি কি ছাদে যাও? দুপুরে বা রাতে। আমি বললাম যে আমি দিনের বেলা যাই না রাতের বেলা মাঝে মধ্যে একবার দুবার যাই। বলে রাখি আমাদের বিল্ডিংটা ৪-৫ তলা কন্সট্রাকশনের কাজ চলছে। মানে এখনো কমপ্লিট না জাস্ট পিলার আর ছাদটা দেয়া হয়েছে। আর ৩ তালা পর্যন্ত কমপ্লিট। তো সমস্যা নাই। তুমি ছাদে গেছ। ছাদে দুইটা জ্বিন থাকে। জ্বিনগুলা খারাপ। তারা অনেকদিন ধরে সুযোগ খুজতেছিল। কালকে আর পরশু সুযোগটা পেয়ে গেছিল খুব ভালোভাবে। আমিবললাম যে এই প্রবলেমটার সমাধানতা কি? উনি বললেন হ্যাঁ সমাধান আছে। একটা গরু জবাই করতে হবে আর রাতে বেলা এক বাটি রক্ত তিন রাস্তার মোড়ে রেখে আসতে হবে। আরেক বাটি রক্ত ৪-৫ তালায় রেখে আসতে হবে। টোটাল তিনটা বাটি। আমি বললাম যে ঠিক আছে। যে গরুটা জবাই হবে সে গরুটা দিয়ে মিসিকিনদের খাওয়াই দিতে বলছে। তো ঐকাজটা করলাম। আমার আব্বুকে বলা হল। মামা সবকিছু শেয়ার করে। তো আব্বু একটা গরু নিয়ে আসে। ব্ল্যাক কালারের গরু নিয়ে আসে। গরু নিয়ে জবাই করা হল। জবাই করার পরে মাঝরাতে প্রায় ২ টার দিকে তিন রাস্তার মোড়ে রেখে আসি। আমি হাতে একটা লাইট রাখি যাতে কোন সমস্যা না হয়। আমার হাতে লাইটটা ধরাই দিছে। আমি যাই যখন রক্তটা রেখে আসি তার আগে হুজুর বলে দিয়েছেন যাতে আমি পিছনে ফরে না তাকাই। তাহলে সমস্যা হবে। একরম বলে দিয়েছিল হুজুর। আমি রক্তটা রেখে দৌড় মারি। দৌড় মারাতে এমনটা হয় যে আমার ম্পাটা মোচড়াই যায়। আমি বসে যাই। এমন সময় আমি ভাবতেছিলাম যে পিছনে ফিরে দেখি কী হচ্ছে। আমি পিছনে ফিরে আর দেখি নাই। জাস্ট চলে আসি। তারপরে আমি ৫ তালায় গেলাম রক্তটা রেখে আসলাম। সেখানে কোন প্রবলেম হয় নাই। আমি তাড়াতাড়ি নেমে আসি। আমি ৪ তালায় রক্ত রেখে আসার পর দেখলাম যে আমার নানু ডাকতেছে। আমার নানু মারা গেছে ২০১৫ এ। আমার নানু ডাকতেছে। তারপর আমার মামা ডাকতেছে। আমি ভাবলাম যে পিছনে তাকাই দেখি কে ডাকতেছে। তারপর আমি জাস্ট দৌড় দিই। তিনতালায় একটা আনটি আসে আছে। উনি সবকিছু জানত। ওনার দরজা খোলা ছিল। আমি ডুকে গেছি। আমি ডাইরেক্ট একেবারে ডুকে যাই। তিনতালায়। তারপর আনটি গরম পানি দিয়ে আমার মুখ হাত ধোয়াই দেয়। ধোয়ানোর পর। আনটি বলে যে তুমি বাসায় যাও। বাসায় গিয়ে গোসল করে ফেল। সময়টা হইছে যে যখন আমার নানু মারা যায়। মারা যাওয়ার পরে আর বাধরে দেওয়া হয় না। কেউ মারা গেলে বা নতুন কেউ জম্ম নিলে ঘর নাকি নতুন করে বন্ধ করতে হয়। যার কারণে দুটা জ্বিন থাকতেছে। তো আশা করি ঘটনাটা ভাল লাগবে।শেয়ার করুন।।ধন্যবাদ।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ