From Bhoot Fm on november 8, 2019 friday
ঘটনাটা আমার নিজের সাথে ঘটা। আজ থেকে আরোও দুয়েক বছর আগে। সময়টা ছিল ২০১৭ সাল। আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি। আমরা চার পাঁচটা ফ্রেন্ড একটা টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়তাম। আমরা যে পাঁচজন ফ্রেন্ড ছিলাম তার মধ্যে ছিল ২ জন মেয়ে আর ছিল তিনজন ছেলে। একদিন স্যার একটু লেট করে আসার কারণে আমরা সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। তার মধ্যে একটা মেয়েছিল। মেয়েটার নাম ইশা। মেয়েটা বলতেছিল যে ও নাকি কিছু একটা ফিল করে। যে ওর আশে পাশে কেউ আছে। ও মাঝে মধ্যে চিল্লানোর আওয়াজ পায়। বা এরকম যে ওদের বাসার উপরের তালা যেটা অনেকদিন ধরে বন্ধ ছিল সেখানে কোন ফ্যামিলি মেম্বার এখন আছে। সেখানে বাচ্চার দৌড়াদৌড়ি, ফ্যামিলির নইস ইত্যাদি সে শুনতে পায়। তারপর সকালে উঠি সও যখন তার মাকে সব ঘটনা বলে তখন ওর মা বলে না সেখানে কোন শুনে নাই। ইনফেক্ট তার বাবাও কিছু শুনে না। পুরা বিল্ডিং এ কেউ কিছু শুনে না শুধুমাত্র ওই শুনে।আমরা যখন জিজ্ঞেস করেছিলাম উপরের রুমটা কী জন্য বন্ধ। ও বলল আজ থেকে ২ বছর আগে প্রায় ২০১৫ সালের দিকে ঐ খানে কেউ সুইসাইড করছে। ফাঁসি দিছে। তো যার কারণে ঐ তালায় কাউকে উঠতে দেওয়া হয় না। ঐ রুমটা সবসময় অফ থাকে। তো আমি আর আমার বেস্ট ফ্রেন্ড, মোমেন ঐটা নিয়ে অনেক মজা নিলাম। আমরা বললা যে না এগুলা কিছু না। তুই আমাদের ভয় পাওয়ানোর জন্য এগুলা বলতেছস ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক মজা নিলাম। তো ও বলল ঠিক আছে। তোরা যদি এগুলা দেখতে চাস তো আমার বাসায় থাক। আমার বাসায় থাকলে তোরা বুঝতে পারবি। জিনিসটা হয়ত তোরাও ফিল করতে পারবি। তো তখন আমি আর মোমেন ভাবলাম যে কী করা যায়। আমি বললাম ঠিক আছে। তাহলে একদিন থাকি। তো এই ঘটনাটা আমাদের এক বড় ভাই এর সাথেও শেয়ার করলাম। তো উনিও বলল যে সমস্যা নাই। তোমরা একদিন গিয়ে থাকো। গিয়ে দেখ কী হয়। তো আমি আর মোমেন একদিন ডেট ঠিক করলাম যে একদিন যাবো। ঐখানে গিয়ে একদিন থাকব। আমাদের ফ্রেন্ড ইশাকেও বললাম। যে আমরা ওমুক দিন আসতেছি। আমরা দুজনই আমাদের বাসায় কিছু জানাই নি। কিছু না জানাই আমরা নরমালি জাস্ট বলছি যে আমরা বাহিরে থাকব। সে রিজনটা নিয়ে আমরা আমাদের ঐখান থেকেয়া গিয়ে আমাদের ফ্রেন্ডের বাসায় আসছি। তার আগে আমরা ইশাকে বলে রাখছিলাম যে আমরা ঐ রুমটাতে থাকব। যে রুমটাতে তালাবন্ধ করা আছে। ঐটা হচ্ছে ইশাদের নিজস্ব বাসা। ফার্স্টে আমি বলছিলাম যে ওর বাবা থেকে যেভাবে হোক চাবিতা কালেক্ট করে। কালেক্ট করে আমাদেরকে দেক আমরা এখানে থালব। তো রাত ১১টার দিকে আমাদের ফোন সাথে টর্চলাইট, সাথে কিছু খাবার সবকিছু নিয়ে আমরা রুমের মধ্যে গেলাম। অনেকদিন রুমটা বন্ধ থাকার কারণে রুমটা অনেক ময়লা ছিল। তো আমাদের কাছে যা কিছু ছিল সেগুলো দিয়ে সব পরিষ্কার করলাম। ক্লিয়ার করার পর আমরা শোয়ার জন্য একটা জায়গা ঠিক করলাম যে আমরা এখানে ঘুমাব। নিচের থেকে আমরা একটা লাইট আনছিলাম যাতে আমরা লাইটটা জ্বালিয়ে কিছুক্ষন থাকতে পারি। ইশার বাসা থেকে একটা টেবিল ফেন আনছিলাম। সেখানে রাত্রেবেলা আমি আর মোমেন দুজনেই গল্প করি। গল্প করতে করতে বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে বলতে রাত প্রায় ২ টা বাজে। তো আমরা ডিসাইড করি রাত প্রায় ২ টা বাজে, আমাদের ঘুমানো উচিত। কারণ পরের দিন আবার স্কুল আছে। স্কুলে যাইতে হবে। স্কুলতো মিস দেয়া যাবে না। পরে আমরা দুজন ঘুমানোর জন্য রেডি হছি। এমন সময় আমাদের রুমে যে লাইট জ্বালানো ছিল সেটা বন্ধ হয়ে যায়। টেবিল ফ্যানটা চলতেছিল, টেবিল ফ্যানটাও অফ হয়ে গেল। দুজন চিন্তার মধ্যে পড়লাম। তারপর আবার ভাবলাম যে না লোডশেডিং না এটা হইতে পারে। তবে তা না। তারপরে আমরা মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালানোর চেষ্টা করলাম। তারপর ফ্ল্যাশ জ্বালানোর জন্য ফোনটা অন করি তখন দুজনের একজনের মোবাইলেও চার্জ ছিল না। যেখানে আমরা একটু আগেও দেখলাম যে আমার ফোনে ৭০ % চার্জ আছে আর মোমেনের ফোনে প্রায় ৮০ % চার্জ আছে। তারপরেও আমাদের ফোন অন হচ্ছিল না। খুব চিন্তার মধ্যে পড়লাম। তারপর আমাদের সাথে যে টর্চগুলা ছিল সেগুলা জ্বালানোর চেষতা করলাম। সেগুলাও অন হচ্ছে না। তখন আরো বেশি ভয় পাচ্ছিলাম। যে কী হচ্ছে আমাদের সাথে এটা। তো সাডেনলি আমরা দুজন ফিল করতে পাই যে আমাদের ছাড়া ঐ রুমে আরো কেউ আছে। তখন পুরা রুম অন্ধকার। কিছুই বুঝতেছি না। এখানে তো কিছু দেখা যাচ্ছে না। ফোন অফ টর্চ অফ। আমরা তো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না যে আমরা দেখব যে এখানে আর কে আছে। আমরা আস্তে আস্তে যখন জানালার কাছে আসলাম জানালার দিকে তাকাই দেখি যে সব জায়গায় কারেন্টা আছে। সবজায়গায় ইলেক্ট্রিসিটি আছে বাটা আমদের রুমটাতে লোডশেডিং। হঠাৎ করে আমরা এমন সাউন্ড পাই যে আমরা যে রুমে ছিলাম সেটা ছিল ৬ তালা তার উপরে ছাদ। বিল্ডিং এর ছাদে অনেকজন আম্নুষ একসাথে হাঁটাহাঁটি করতেছে। ব্যাপারটা এরকম, একটা মাঠে ফুটবল খেলা হলে অনেক প্লেয়ার থকে। আর ছাদে এরকম মনে হচ্ছে যে ঐখানে ফুটবল খেলা হচ্ছে। তো দুইজনে চিন্তা করলাম যে এত রাতে তো ছাদে এত মানুষ আসার কথা না। তারপর আমরা যে রুমে ছলাম, পাশের রুম থেকে সাউন্ড পাই যে সেখানে কোন একটা মহিলা তার মেয়েকে শাসন করতেছে। অনেক বকাঝকা করতেছে। কোন একটা কারণে বকা দিচ্ছে। আমি আর মোমেন দুইজন দুইজনের হাত ধরে পাশের রুমে যাওয়ার জন্য ট্রাই করলাম। গিয়ে দেখলাম কিছু নাই। ওখানে বাইরে থেকে আলো এসে কিছুটা দেখা যাচ্ছিল। তখন আমরা দেখলাম যে ওখানে কিছু নাই। তারপর সেখানে আমরা চিন্তা করলাম যে না এই রুমে থাকা যাবে না। যদি এখানে থাকে তাহএ আজকে রাত্রে আমাদের সাথে হয়ত অনেক খারাপ কিছু হইতে পারে। তো বাইরা যাওয়ার জন্য ট্রাই করলাম। তখন দেখলাম যে আমাদের মেইন যে দরজাটা আমরা কোনভাবে অন করতে পারতেছি না। আমরা যে খুলব, খুলে যে বাইরে যাব সেটা কোনভাবে পসিবল হচ্ছে না। দরজা খুলার ট্রাই করলাম, জানালা খুলার ট্রাই করলাম কিন্তু কোনভাবে আমরা দরজা বা জানলা খুলত্র পারতেছি না। তখন কী করব দুজনেই চিন্তাভাবনা করলাম। দুজনেই আমরা যেখানে গল্প করছিলাম, সেখানে কোনমতে ফিরে এসে দুজবে নিলে যতটুকু সুরা তারপরে দুরূদ শরীফ পারি পড়লাম। দুজনেই অনেকটা ঘাবড়ে গেছিলাম। সেসময় অনেকটা ঠান্ডা পড়ে গেছল। হয়ত সে সময় ৪তা থেকে সাড়ে চারটা বাজে। বিভিন্ন সময় আমাদের সাথে কছু হচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন কেউ আমাস=দের পাশে দিয়ে হাটতেছে। ওরে কেউ ডাকতেছে। মনে হচ্ছে কেউ আমার কানে ফিসফিস করে কিছু বলতেছে। এরকম হইতে হইতে আমাদের কানে ফজরের আযানের সাউন্ড আসে। যখন আমরা শুনি তখন চিন্তা করি না এখন আমরা কিছুটা সেফ। এখন মতে এই রুমে থাকা যাবে না। তখন অনেক ট্রাই করে রুমের দরজাতা খুললাম। তখন আমি আর মোমেন আমাদের ফোন আর টর্চটা নিয়ে একটা দৌড় দিই। ঐ বাসা থেকে কিছুটা সামনে একটা মসজিদ ছিল। আমরা এক দৌড়ে মসজিদে যাই দুজনে। মসজিদে যাই দুজনেই ওযু করে ফযরের নামায পড়ি। ফযরের নামায পড়ে আমরা হুজুরের সাথে কথা বলি। হুজুরকে সব কিছু ডিটেইলসে বলি। হুজুরকে বলার পরে তারা আমাদের ঝেড়ে দেন। ঝেড়ে দেওয়ার পর বললেন যে, তোমরা ঐ বিল্ডিং এর আশে-পাশে কখনো যেও না। আর এগুলা অনেক সময় থাকে। এগুলার সাথে মজা করা ঠিক না। নিজের লাইফ নিয়ে রিস্কের ভিতরে যাবা না। তারপর আমরা দুজন সকালবেলা যার যার বাসায় চলে আসি। বাসায় আস্র পর গোসল করার পর আমাদের বুকে আর এতটা শক্তি ছিল না যে আমরা তখন আবার স্কুলে যাব। তারপর আমরা বেডে শুয়ে পড়ি। তারপরে প্রায় এক সপ্তাহ আমাদের দুজনেরই জ্বর ছিল। এক সপ্তাহ পর আমরা দুজনে যখন স্কুলে ব্যাক করি তখন আমাদের ফ্রেন্ড ইশা যার বাসায় আমরা ছিলাম সে আমাদেরকে বলে যে তোরা আমার বাসার সামনে নকও করলি না আমার বাসার সামনে চাবিটা রেখে চলে গেলি। এটাতো ঠিক না। আমার তো চিন্তা হয়। তোরা সাতদিন আবার স্কুলে আসলি না। কিন্তু রাসেল ভাই আমরা চাবি টা নিই নাই রুমটা লকও করি নাই। আমরা জাস্ট দরজা খুলে দৌড়ে চলে আসছিলাম। তারপরে আমাদের এই জিনিসটা অবাক লাগে আমরা যেখানে দৌড়ে আসছিলাম সেখান থেকে কীভাবে দরজা লক হয়। টেবল ফ্যান এমনকি আমরা যে লাইটটা নয়ে আসছিলাম সবকিছু বাসার ঐখানে ছিল। এই জিনিসটা আমাদের অবাক লাগে যে আমরা যেগুলা নিয়ে আসি নাই ঐ রুমে রেখে চলে আসছিলাম সেগুলো কীভাবে ওর বাসার সামনে আসে। তারপর থেকে এখনো আমরা ঘটনাটার ব্যাখ্যা পাই নাই। এখন যখন আমাদের ঘটনাটা মনে হয় এখনো ভয় হয় যে আসলে কত খারাপ একটা সময় কাটাইছি। এই ছিল আমার ঘটনা। Battery
Getting battery
0 মন্তব্যসমূহ