প্রবাসের ভৌতিক ঘটনা

ফেজ ১ঃ ইন ২০১৮ আমার পেরেন্টস বাংলাদেশে ব্যাক করেন। আমি এখানে একা ছিলাম সে সময়ে। সো এই ফ্রি টাইমে আমি ওয়েসটার্ন হাভার্ড ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে ছিলাম একটা ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে। আমার ফ্রেন্ড সাজেস্ট করল যে সেলিম নামের প্লেস আছে, সেলিম নামের একটা জায়গা আছে। সেলিম নামের একটা প্লেস হবে। সেলিম না কী হবে আমি ঠিক জানিনা সেখান থেকে ঘুরে আসতে বলল। তিনি বললেন যে সেলিম সেই জায়গা যেখানে ব্ল্যাক ম্যাজিক আবিস্কৃত হয়েছিল। যেখানে ব্ল্যাক ম্যাজিক শুরু হয়েছিল, সেটাই তিনি বলছিলেন। স্পেশিয়ালি ওয়িচেস আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে সেখানের মানুশ ওয়িচ হিসেবে কাউকে সন্দেহ করলে আগুনে পুড়িয়ে মারত। এমনকি নিষ্পাপ মানুষও ঐ সময়ে মারা গিয়েছে। হয়ত কেউ কেউ তাকে ওয়িচ হিসেবে সন্দেহ করেছে এবং সে কারণে প্রাণ দিতে হয়েছে। এবং সন্দেহ করলে বা পার্সনাল যেসব কারণ ছিল, শাস্তি দিতে চাইলে বা কাউকে মেরে ফেলতে চাইলে, তাকে ওয়িচ বলে সেখানে মেরে ফেলা হত। সেদিন সারারাত আমরা ছিলাম ঐখানে। অনেক জায়গা ঘুড়েছিলাম। লাইক গ্রেভইয়ার্ড এবং এই সমস্ত গ্রেভয়ার্ড ছিল ওয়িচদের। ওয়িচদের গ্রেভয়ার্ড ছিল এবং তিনি সেটা ভিজিট করেছেন। কোন সুপারন্যাচারাল কিছু দেখিনি বা ফিলও করিনি। এনিওয়ে পরের দিন রাতে ড্রাইভ করে নিউইয়র্ক ব্যাক করতেছিলাম একা। নিউজার্সিতে ক্রস করার টাইমে রাত প্রায় দুইটার দিকে হাইওয়েতে হঠাৎ করে কারে ওয়েটটা অনেক বেশি মনে হচ্ছিল। এবং কারে যদি একা ড্রাইভ করা যায় সেটাও কিন্তু বোঝ যায়। এবং কারে যদি অনেক লোক উঠে তাহলে যে ডিফ্রেন্স সেটা যিনি ড্রাইভ করেন তিনি বুঝতে পারেন। আমি নিজের অজান্তে ব্যাকসিটের দিকে তাকাই এবং আমি দেখি উইন্ডোর সাইডে একটা মেয়ে যার অনেক বড় বড় চুল বাতাসে উড়ছে। এবং সে একটা ব্ল্যাক টাইপের ড্রেস পড়ে আছে। একদম চোখের পলকে সবকিছু ঘটে গেল এবং আমি অনেক কষ্ট করে নিজের সেন্সটা ধড়ে রাখলাম। আমি জ্ঞান হারালাম না কারণ আমার গাড়ির স্পীড ছিল প্রায় ১৩০ কিলোমিটারের উপরে। তারপর রাত তিনটায় আমি যখন নিউইয়র্কে ডুকলাম মেনহেডেনে। মেনহেডেনে ডুকে আমি গাড়ি হার্ডব্র্যাক করতে বাধ্য হলাম। কারণ আমার গাড়ির ঠিক সামনে একটা মেয়ে মেইন রোডের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল। একচুয়ালি দাঁড়িয়ে ছিল না মানুষ নামাযের সময় রুকুতে গেলে হাঁটু গেড়ে যেভাবে রুকুতে যায় সেইরকম পজিশনে সে দাঁড়িয়ে ছিল। তার মাথাটা রোডে টাচ করা ছিল। এবং মানুষের পক্ষে যা অসম্ভব। আমি সাথে সাথে আমার মোবাইল বের করে ছবি তুললাম। তারপর আমি আমার গার্লফ্রেন্ডকে ফোন করে বললাম। ও সব শুনে বলল যে 911 এ কল করতে, বাইপাসে যে মেয়েটি দাঁড়িয়ে ছিল তাকে আস্তে করে ক্রস করে চলে আসতে। 911 এর পুলিশের এর জন্য ওয়েট করার চেয়ে, আমি আস্তে করে মেয়েটাকে ক্রস করে চলে আসলাম। বাসায় এসে ঘুমানোর টাইমে আমি ভাবতে লাগলাম যে এগুল কী কাহিনী হল আজ? এগুলো আমি বিলিভ করি না তাই আমি খুজার চেষ্টা করলাম যে কোন যৌক্তিক উত্তর পাওয়া যায় কিনা। এটা কেন হোল? আমি একটা জায়গায় গাড়ির একটা সিটে একটা মেয়েকে দেখেলাম তারপর রাস্তার মাঝে এরকম একটা অদ্ভুত মেয়েকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। এবং সারারাত আমি জেগে থাকি। সারারাত জেগে থাকতে থাকতে একটা সময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সেদিন আমার বাসায় শুরু আজব টাইপের ঘটনা, ওয়িয়ার্ড টাইপের ঘটনা। মানে যেগুলা এক্সপ্লেইন করার মত না এমন সব সিচুয়েশন তৈরী হল। রাতের বেলায় আমি ফিল করলাম যেন কিচেন থেকে যেন কেউ বাথরুমের দিকে গেছে। এবং আমার বাবা-মার রুমগুলো সেগুল ফাঁকা ছিল, সেই বেডরুমগুলোতে কেউ হাঁটাহাঁটি করছে। এবং এটা খুব ধীরে ধীরে শুরু হত। আস্তে আস্তে শুরু হল দরজা ধাক্কানোর শব্দ। তখন থেকে আমি বাসায় সারারাত আমার ফ্রেন্ডদের ফোনে লাইনে রাখতাম। একদিন রাত প্রায় ২ টায় আমি ফোনে কথা বলছিলাম।  তখন আমার উইন্ডোতে কেউ একজন নক করল। আমি আটতালায় থাকি। আটতালার উপরে উইন্ডোতে কে নক করবে? নকের সাউন্ড পেলাম। আমি বললাম কউ আমার উইন্ডোতে সাউন্ড করছে। পরপর দুইবার নক হল। চিন্তা করেন ফ্ল্যাটে আপনি একা কেউ একজন আপনার জানালায় নক করছে। আমি অনেক ভয় পেয়ে বাসার সব লাইট অন করে আমি রাতটা কোনমতে পার করি। নিউইয়র্কে ভূতের উৎপাতে আমি কোন হুজুরের কাছে যাব? এটাতো সম্ভব না। আমি কী করব সেটা ভেবে পাচ্ছি না। আমার এলাকায় একটা মসজিদ আছে। সেখানে গেলাম। এবং সেখানে গিয়ে আমি ওখানের মানুষজনদের কাছে বলি। ওনারা কেউ কেউ বলে নামাজ পড়তে দোয়া পড়ে ঘুমাতে। একজন বেশ বয়স্ক টাইপের মানুষ ছিলেন। তিনি বললেন যে তোমাকে কেউ ক্ষতি করছে না। তুমিও এটা নিয়ে এত বেশি চিন্তা কর না। বাসায় ডুকলে শব্দ করে ডুকবে। সালাম  দিয়ে ডুকবে এবং তুমি নিরাপদে থাকবে। কয়েকদিন পরের কাহিনী। সেদিন ওয়েদারটা অনেক গরম ছিল তাপমাত্রা অনেক বেশি ছিল। আমার জানালাগুলা বন্ধ ছিল। এসি অন করা ছিল। আমি স্টাডি করছিলাম। হঠাৎ করে আমি বেডরুমের দরজায় নকের শব্দ পাই।  এসময় আমি প্রস্তুত ছিলাম। আমি সাথে সাথে আমার ভিডিও ক্যামেরা ওপেন করলাম। মানে ফোনের যে ক্যামেরা সেটা ওপেন করলাম। আমি নোটিস করলাম যে রুমের দরজাটা আপনা আপনি খুলে গেল। আস্তে শব্দ করে আবার লেগেও গেল। আমি ভয় না পেয়ে জাস্ট শকড হয়ে গেলাম। এটা কী করে হলো? এমন না যে আমার উইন্ডোটা কোলা, বাতাস এসে আমার দরজাটা খুলে দিবে এরকম কিছু না। এটা কীভাবে সম্ভব? মানে খুলবে আবার বন্ধ হয়ে যাবে। এবং রাত তিনটা তিরিশে আমি সাউন্ড পেলাম কেউ যেন আমার পেরেন্টসের রুম থেকে হেঁটে কিচেনে গেল। আমি বাসায় একা কারণ, আমার পেরেন্টসরা তখনো বাংলাদেশে। আমি ভাবলাম। যা আছে কপালে আমি দেখব যে কে ঐ কিচেনে গেছে? আমি পা টিপেটিপে কিচেন পর্যন্ত যাওয়ার আগে কিচেন থেকে হাড্ডি চিবানোর মতো সাউন্ড পেলাম। সাথে সাথে আমি ঐ জায়গাতেই ভয়ে জমে গেলাম। আমার মুখ থেকে কোন শব্দ বেরোচ্ছিল না এবং আমার যে ফিলিংটা হচ্ছে সেটা বোঝাতেও পারব না। আমি নিজেকে বোঝালাম যে আমাকে আমার বেডরুমে ফিরে যেতে হবে এবং শব্দছাড়া যেতে হবে। আমার নিজের উপস্থিতি তা অন্য কাউকে বোঝানো যাবে না। এবং আমি আমার বেডরুমের গেটটা ভালভাবে লক করে 911 এ কল করলাম। ৭-৮ মিনিটের মধ্যে আমার বাসায় পুলিশ চলে আসে। আমি তাদের বললাম যে আমি অনুভব করলাম যে আমি ছাড়া আর কেউ এই এপার্টমেন্টে আছে। এবং এটা কোন চোর বা যে কেউ হতে পারে। তাই আমি অনিরাপদ মনে করছিলাম। এবং আমি তাদের জ্বীন কিংবা সুপার  ন্যাচারাল কোন কথা বললাম না। কারণ তাদের এমন কোন ক্ষমতা ছিল না। তারা হয়ত আমাকে কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে বা কোন রিলেটিভের বাসায় চলে গেলাম মানে কিছু একটা করব এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিলাম।আমি সেটাই করেছিলাম। পরের সপ্তাহে আমার পেরেন্টসরা ব্যাক করল। তখন আমি বাসায় চলে আসলাম।  আমার পেরেন্টসরা ব্যাক করার পর আমি কিছু ফিল করিনি বা দেখিনি। কিন্তু একদিন আমি কাজে ছিলাম। আমার আম্মু আমাকে বারবার কল দিচ্ছিল। আমি কল রিসিভ করে আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম যে কী হল এবং ইমার্জেন্সি কোন কাজ থাকলে আমরা কোন পার্সনাল কোন কল ধরি না। আমাকে আম্মু বলল বাসায় আমার আব্বু নাই তাই আম্মু একা একা ভয় পাচ্ছিল। কিন্তু আম্মু আমাকে তখন ফোনে কিছু বলেনি। আমি বাসায় আসার পর আম্মু বলল যে আমার ওয়ার্কিং আওয়ারে যেন বেশি রাত না হয়। আমি বললাম কেন? কী হয়েছে? তারপর আম্মু বলল, আম্মু রাতে ১১টার দিকে বাথরুমে গিয়েছিল। আম্মু একাই ছিল বাসায়। আর বাথরুমের গেটে খুব জোরে জোরে কেউ যেন বারবার নক করছিল। মানে খুব অদ্ভুৎ ব্যাপার কিন্তু। এই ঘটনাটা যিনি পাঠিয়েছেন তার সাথে যা ঘটছিল তা তার মার সাথে ঘটেছে। তিনি ঘটনাটা এখানেই শেষ করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ