মায়ের কবর যিয়ারতের ঘটনা।।bhoot fm story .Radio foorti bhoot fm.

 এটা ছিল ২০০৮। মাসটা ছিল ফেব্রুয়ারি। ৫ তারিখ আমার মা মারা যান। ৭ তারিখের ঘটনা। আমি মাগরিবের নামায পড়ে কবরখানায় আমার মায়ের কবর যিয়ারত করতে গিয়েছিলাম। সবাই বলে ঐ সময়টায় কবরে যাওয়া ঠিক না। কারণ, ঐ সময়টায় চারিদিক ফাকা থাকে। আর সময়টা ফেব্রুয়ারি যেহেতু সন্ধ্যা বেশ আগেই হয়ে গিয়েছিল। আমাদের হোম ডিসট্রিক্ট খুলনাতে। আমাদের মহল্লায় একটা বড় কবরস্থান আছে। কবরস্থানটা বেশ বড়। আর কবরটার মধ্যে দুইটা-তিনটা মেইন লেইন আর কিছু আছে সাবলেইন যেগুলা দিয়ে একেবারে কবরের কাছ পর্যন্ত গিয়ে কবর যিয়ারত করা যায়। আমার মায়ের কবরটা বেশ ভিতরে একেবারে পশ্চিম কণার দিকে। তো আমি নামাজ শেষ করে গিয়েছি। তো, যিয়ারতের জন্য কেউ নেই। অন্ধকার ফাকা চারিদিক। কবরখানার ভিতরে কিছু আল টিম টিম করে জ্বলছে। যিয়ারত শেষ করে আমি ফিরে আসছি। ফিরে আসছি মায়ের স্মৃতি নিয়ে। হঠাৎ কান্নার শব্দ আমি যত এগচ্ছি কান্নার শব্দটা যেন আমার কাছে চলে আসছে। আমি অবাক হচ্ছি এই জন্যে, কারণ তা মেয়ের কান্না। কবরখানায় মেয়ে এই সময় কেন কাঁদবে? আমি বুঝে উঠতে পারছি না। ভাবলাম আমার মনের ভুল। আমি ভয় পাচ্ছি। কিন্তু আমি থেমে থাকি নি। আমাকে দ্রুত বেড়িয়ে    যেতে  হবে।  আমি যতই এগচ্ছি শব্দটা ততই আমার কানের কাছে আসছে। আমি দ্রুত হাঁটছি আম্র মনে মনে হল শব্দটা আমার থেকে বেশি দূরে নয়। তাকিয়ে দেখি, একটা কবর তার চারিদিকে যে বাঁশ দিয়ে ঘেড়া থাকে। তার পাশে দাঁড়িয়ে একটা মেয়ে। কিন্তু তার পরনে কোন ভাল পোশাক আশাক নেই। পাগলের মত তার গায়ের পোশাক। চুল উসকো-খুসকো যেন অনেকদিন চুল আচড়ায় নি। গায়ে ময়লা, কাঁদছে।আমি ভাবলাম আমার দেখার ভুল কিংবা মনের ভয়। আমি দ্রুত হাটা শুরু করলাম। খুব দ্রুত। আরোও দ্রুত। একসময় মনে হল আমি দৌরাচ্ছি। দৌড়াতে দৌড়াতে একবার পিছনে, একবার সামনে, একবার পিছনে, একবার সামনে। এভাবে করতে করতে হঠাৎ ধাক্কা খেলাম এক লোকের সাথে। লোকটার পরনে সাদা আলখাল্লা, মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি। আমি ভাবলাম, কবরখানায় যারা কবর খুড়ে তারা কবরের মধ্যেই থাকে। তাদ্র মধ্যে কেউ একজন হবে হয়ত। আমি যখন তার সাথে গুতা খেলাম সে বলল, কী ব্যাপার? আপনি এভাবে হাটছেন কেন? আমি বললাম, না ঐযে শব্দ শুনতে পাচ্ছেন না? কান্নার। সে বলল, কই? ঐ যে পিছনে। সে বলল,  না তো। আরে না না ঐখানে কাঁদছে। একটা মেয়েকে দেখলাম। সে বলল, কই চলুন তো, দেখি। আমি তাকে নিয়ে রওনা হলাম। মনের ভিতর একটু একটু ভয়। এগচ্ছি এগচ্ছি। ওমা কেউ নাই, ফাঁকা। যে জায়গায় আমি কান্নার শব্দ শুনেছিলাম আর মেয়াটাকে দেখেছিলাম, সে জায়গা থেকে এত দ্রুত কবরখানা পার হয়ে যাওয়া পার হয়ে যাওয়া সম্ভব না। কবরস্থানটা অনেক বড়। আমি ভাবলাম আমার হয়ত মনের ভুল ছিল। আমি বললাম, কী হল ভাই, আমি তো মেয়েটাকে দেখাছিলাম। লোকটা একটু কর্কশ দৃষ্টিতা আমার দিকে তাকাল। তখন আমার মনে হল, আমি কার সাথে শেয়ের করছি? সে কি মানুষ? আমি বললাম আমার ভুল হচ্ছে। আমি দ্রুত পালানোর চেস্টা করলাম। পাঁচ-ছয় হাত সামনে এগিয়ে গিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখি, সে আর নেই। আমি দ্রুত এসে মসজিদের উপর আছড়ে পড়লাম। আমি ভয়ে কাঁপছি। মসজিদের একজনকে পাশে পেলাম। তাকে সব বললাম। সে বল। নানা এটা কিছু না। এরকম হয়। আপনি বাড়ি চলে যান। আমি রাস্তায় বেড়িয়ে একটা রিক্সা নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম,।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ